প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস উষ্ণ লেবু পানি আপনার ওজন কমাতে পারে (weight loss)। লেবুর রস আমাদের লালা ও পাচকরস নিঃসরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে যা আমাদের হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ম লেবু পানি পান করলে পাবেন আরও অনেক উপকার যা থাকছে এই লেখার শেষের দিকে।
প্রথমে জানাচ্ছি কিভাবে প্রস্তুত করবেন এই সহজ কিছু উপকারী পানীয়টি (how to do it):
- জীবাণুমুক্ত খাবার পানি ভালভাবে ফুটিয়ে নিন। একটি লেবুর অর্ধেকটা রস পানিতে মিশিয়ে নিন।
- প্রতিদিন সকাল ঘুম থেকে জেগে এই পানীয়টি পান করুন। এর ১০-১৫ মিনিট পর সকালের নাস্তা।
- ঠাণ্ডা বা বরফ মিশ্রিত পানিতে লেবুর রস (lemon juice) মিশিয়ে পান করলে ফল পাবেন না, কারণ তা হজম হতে অনেক বেশি সময় লাগে।
- প্রতিবার নতুন করে পানীয়টি তৈরি করুন। লেবুর রস মিশ্রিত পানি অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখবেন না।
প্রতিদিন সকালে লেবুর রস মিশ্রিত হালকা গরম পানি পান করলে আরও যেসব উপকার পাবেন (other benefits):
১. আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে
২. শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়
৩. লেবুর রসে থাকা ভিটামিন ‘সি’ সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত রাখে
৪. এতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপকে উদ্দীপ্ত করে
৫. ভিটামিন ‘সি’ ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ড চেহারার বলিরেখা দূর করে একে উজ্জ্বল করে তোলে
৬. আমাদের সারাদিনের জন্য শক্তি যোগায়, মন ভাল রাখে (enhances mood) ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে
৭. এতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড যে কোন ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে
৮. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে (freshens breath)।
তবে এসব উপকার বিশেষ করে ওজন কমাতে চাইলে লেবুর রস মিশ্রিত গরম পানি আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত পান করতে হবে। ২-৩ মাস ধরে লেবুর রস মিশ্রিত পানি পান করলে আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
এ ধরণের আরও লেখা পড়ুনঃ
- দ্রুত ওজন কমানোর কিছু কার্যকর পরামর্শ
- সহজেই ওজন কমানোর জন্য কিছু পরামর্শ
- ওজন কমাতে নারিকেল তেলের ৩ টি ব্যবহার
- ওজন কমাতে জেনে নিন ২ টি সেরা জুস রেসিপি
- ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর ৭টি সহজ উপায়
পরামর্শ.কম এ স্বাস্থ্য ও রূপচর্চা বিভাগে প্রকাশিত লেখাগুলো সংশ্লিষ্ট লেখকের ব্যক্তিগত মতামত ও সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লিখিত। তাই এসব লেখাকে সরাসরি চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য অথবা রূপচর্চা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। স্বাস্থ্য/ রূপচর্চা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য কিংবা চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের/বিউটিশিয়ানের শরণাপন্ন হোন।
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে অনুরোধ করছি। পরামর্শ.কম এর অন্যান্য প্রকাশনার আপডেট পেতে যোগ দিন ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসে অথবা নিবন্ধন করুন ইমেইলে।